কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা: চাঁদা দিয়েই সড়কে চলছে ভোলায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ সকল যানবাহন। এই কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই সড়কে দাপটে চলছে এ অবৈধ যানবাহন। থ্রিহুইলার সহ বৈদ্যূতিক মোটরচালিত অবৈধ অটোবোরাক, অটোরিক্সা গুলো যত্রতত্র পার্কিং ও শিশুসহ অদক্ষ চালক দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।

আর এসব থ্রিহুইলারসহ অবৈধ যানবাহন চাঁদা দিয়েই চলছে প্রতিনিয়ত।
চাঁরদিক নদী বেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার সড়কগুলোতে থ্রিহুইলারসহ
অটোবোরাক, অটোরিক্সার অব্যবস্থাপনা  যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে সচেতন নাগরিকরা। ফলে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে প্রশাসন বিভাগও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, ভোলা জেলা সদর সহ উপজেলাগুলোর বাজারে প্রতিনিয়ত
প্রায় কয়েক হাজার অটোবোরাক অটোরিক্সা ও প্রায় ৩ শতাধিক
সিএনজি চলাচল করে থাকে বিভিন্ন রুটে। নেই কোনো বৈধ
কাগজপত্র। অতিরিক্ত মাত্রায় অবৈধ অটেবোরাক,অটোারিক্সা বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব যানবাহনের যত্রতত্র পার্কিং ও চালকদের বেপরোয়া গতি ও শৃঙ্খলায় কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগ।

উপজেলাগুলোর বিভিন্ন রুটে শহরের আশেপাশে ১৫/২০ জন চেইন
মাস্টার দিয়ে দৈনিক ২০/৩০ টাকা গাড়ি প্রতি চাঁদা নেওয়া হয়। এ
ছাড়াও মাসিক গাড়ি প্রতি অটোবোরাক দুইশত, অটোরিক্সা একশত
টাকা এবং সিএনজি তিনশত টাকা করে নেওয়া হয়। এসব বিষয়ে একাধিক মালিক ও চালক জানান, দৈনিক ও মাসিক চাঁদা ছাড়াও রোড পারমিটের জন্য এলাকা ভিত্তিক অটোবোরাক ৪/৫ হাজার, অটোরিক্সা ১/২ হাজার ও সিএনজি ৮/১০ হাজার টাকা দিতে হয় মালিক ও শ্রমিক অফিসে।

সচেতন মানুষের মতে, ভোলা জেলায় নির্দিষ্ট টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থাপনা , যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ, সীমিত গতি, সুদক্ষ চালক ও বয়সের
সীমাবদ্ধতা না করে উল্টো চাঁদা দিয়েই তার বৈধতা দিয়েছেন। এদের
বিরুদ্ধে সঠিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান
হতে পারে বলে স্থানীয়দের  ধারণা।

জেলা ও উপজেলা শহরের আশপাশের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের
অটোবোরাক, অটোরিক্সা চলাচল ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পরিচালনায় তীব্র
যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্যান্য পরিবহনের পথচারী ও বিভিন্ন
দফতরে কর্মমুখী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়
বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত।

থ্রিহুইলার, অটোবোরাক ও অটোরিক্সা বেশিরভাগ চালক অপ্রশিক্ষিত
হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে
হয়েছে পথচারী, চালক ও শিশুরা। বৈদ্যূতিকভাবে চার্জ করার ফলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যূৎ ঘাটতি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ নিত্যনতুন নয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা জেলা ও উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়াও অলিগলিও ব্যাটারিচালিত অটোবোরাক ও অটোরিক্সার দখলে।

এদিকে ওই যানবাহনে অবৈধ এলইডি লাইট, নিষিদ্ধ ঘোষিত উচ্চমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্নের কারণে পরিবেশ নষ্টসহ সাধারণ মানুষের নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সচেতনমহল জানিয়েছেন। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আইনের আওতায় যেকোনো বিষয় সুশৃঙ্খল এটাই বাস্তবতা। তাই লাইসেন্স ও নিয়মে চলাচলের মাধ্যমে বেপরোয়া ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব এবং নাগরিক সচেতন হলে ভোলার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তিনি আরও জনান, আমাদের অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।